Sign in
Close

Contacts

Shaneaz Sultana

01727239269

admin@olf-alumni.com

History

History of Our Lady of Fatima Girls High School Cumilla

 

গোমতি নদীর কাছাকাছি ছোট্ট একটি শহর কুমিল্লা ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। পাহাড়ী স্রোত বুকে নিয়ে গোমতী বয়ে চলেছে মেঘনার টানে। তারই কোল ঘেঁসে একটি ছোট্ট জনপদ কুমিল্লা। কালক্রমে কুমিল্লা এখন জেলা শহর। খেলার মাঠ, ঈদগাহ ময়দান, জেলা প্রশাসকের দপ্তর। তারই কাছে অবস্থিত আওয়ার লেডী অব ফাতিমা গার্লস হাইস্কুল। সপ্তাহে জেলা প্রশাসক মিঃ আই.এ.খান ভাব দু’মেয়েকে ইংরেজী পড়াতে সিষ্টারদের অনুরোধ করেন। সিষ্টার লিও, আঞ্জুম ও ইসরাতকে ইংরেজী শিখাতে সহায্য করেন। মিঃ ও মিসেস পল ডিলোনী এ ব্যাপারে সিষ্টারদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেন। পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার উইস সি.এস.সি. ও সিষ্টারদের কাজে সহায়তা দান করেন। পূর্বে সুদূর আমেরিকা থেকে বিদেশী ফাদার, ব্রাদার, সিষ্টাগণ নিজ দেশ ও আত্মীয় পরিজনের সংস্পর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে খ্রীষ্টাদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতেন।

এ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে সিষ্টার মেরী লিও ক্যাজেল এম.এস.সি মুখের রাজা মানুভূমির মায়া কাটিয়ে মিশনারী হবার। আকাঙ্খায় ইন্দোনেশিয়া ও করাটা হয়ে প্রথমে বোম্বে আসেন। বর্তমানে পৃথিবীটা খুব ছোট হয়ে আসছে। কিন্তু তখনকার দিনে একল্পন থেকে অন্যজনে যেতে যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। সিষ্টার লিও বোম্বে। বর্তমানে মুম্বাই) থেকে ট্রেন ও নৌকাযোগে সিষ্টার জোয়ান অব আর্ক, সিএসসি (ইন্ডিয়ানা প্রভিন্স) এর সাথে ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দে ১৪ই এপ্রিল তুমিলিয়া আসেন। সিষ্টার লিও বাংলাদেশে খ্রীস্টাদর্শ প্রচারের আগ্রহে তুমিলিয়া থেকে তেজগাঁও অর্ডানেজে প্রচারের বাহন হিসেবে বাংলা ভাষা শিক্ষা করেন।

১৯৪৮ খ্রীঃ বিশপ গ্রেণার, সিএসসি ঢাকার আর্চবিশপ হন। ভারত পাকিস্তান বিভক্ত হলে এহেন পরিস্থিতিতে আর্চবিশপ হলিক্রস সিষ্টারদের কুমিল্লাতে একটি শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করার অনুপ্রেরণা যোগান। আর্চবিশপের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৪৯ খ্রীস্টাব্দের নভেম্বর মাসে মেরীয়ানাইট হলিক্রস সিষ্টার মেরী অভিল রিচার্ড শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে কুমিল্লাতে আসেন। এর কিছুদিন পূর্বে মাত্র নমস্য ফাদার ফ্রান্সিস উইস সিএসসি নবগঠিত কুমিল্লা মিশনের পাল-পুরোহিত হন। বিশ্বাস থাকলে পাহাড়ও একল্গুন থেকে অন্যস্থানে সরে যায়। কুমিল্লা অবস্থানের প্রথম মানুষ জীবনে বিশেষ এক মুহূর্তে নতুন কিছু সৃষ্টির নেশায় আত্মনিয়োগ করে। অজ্যকে সেবা দান কন্যার মানসে তার মন থাকে উদ্বেল। এমভাবস্থায় নিজ জন্মভূমি, স্বজন ছেড়ে যেতেও বাঁধে না।

তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ আওয়ার লেডী অল্ ফাতিমা গার্লস হাই স্কুলের প্রতি-ষ্ঠাত্রী নমস্য সিস্টার মেরী পিও, এমএসসি। সিষ্টার লিও ছোট্ট শহর কুমিল্লাতে আসেন এবং অজ্ঞতার অন্ধকার ঘুচাতে ১৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে ৮ই জানুয়ারী সোমবার আওয়ার লেডী অব ফাতিমা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মাত্র এজন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে স্কুল শুর হয়। তাদের মধ্যে ছিল ৩ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী। ছাত্রীটিনর নাম ছিল লুৎফা চৌধুরী রিয়া। লুৎফা চৌধুরী বর্তমানে কলেরা হাসপাতালের ডাক্তার। প্রথম অবস্থয় বারান্দাতে ক্লাশের কার্যক্রম চলতো। আজ তার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হলো। পঞ্চাশ বছর পূর্বে যখন কুমিল্লার ইতিহাসে এর নাম সংযোজিত হলো তখন শিক্ষিকার সংখ্যা ছিল মাত্র দু’জন, সিষ্টার মেরী লিও এবং সিষ্টার যোয়ান অব আর্ক এমএসসি। অন্য একজন নার্স, সিষ্টার মেরী যেকলা এমএসসি তাদের সঙ্গে থেকে মানুষকে ঔষধ পত্র দিতেন যে কমে বাসে, সেটা বর্তমানে অফিস রুম। ১৯৫৮ খ্রষ্টাব্দে বিশেষ শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শরীফ স্কুলটি পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেন। পাকিস্তানে এটি ছিল মিশনারীদের পরিচালিত শ্রেষ্ঠ স্কুল। এছাড়াও এমএসসি সিস্টার ফ্রান্সিস, সিষ্টার ভিলেন্ট, নিষ্টার আল্ল, সিষ্টার বারবারা পর্যায়ক্রমে এখানে ছিলেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর ১৯৬১ খ্রীষ্টাব্দে স্কুলের নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘আওয়ার লেডী অব ফাতিমা ক্যাজি স্কুল নামে পরিচিতি লাভ করে। সিষ্টারণণ হিন্দুদের কাছ থেকে একটি বাড়ি জন্য করেন তাতে এখনও সামনে নামটা আছে “দীনধ্যম”। ১৯৫৫ খ্রীস্টাব্দে নতুন অংশট নির্মাণ করা হয়। প্রিন্সিপাল ছিলেন সিষ্টার লিও সঙ্গে সিষ্টার যোয়ান অব আর্ক, সিরার পুর্নস, সিস্টার আলইসিউস, সিষ্টার পাআল ও প্রফেসরণণ। তাদের মধ্যে আর.কে খান, কে.কে, বয়, এ.এস.রিজভী, এম, খলিল, এসহাক, মিসটি, মজুমদার, মিসেস মিটল্ডা কোড়াইয়া, মিস জুলিয়ানা পিউরীফিকেশন, মিস রুপিনা রোজারিও, মিস লিলি ক্রুশ। ১৯৫৯ খ্রীষ্টাব্দে নভেম্বর মাসে। ইংল্যান্ড থেকে ক্যাজি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় তাতে এ.জে. ইনায়াতুন নিহার প্রথম পাস করে। ইংরেজীর সাথে। ছাত্র-ছাত্রীরা মাতৃভাষাকে যেন আয়ত্ব করতে পারে তার জন্য বাংলা শিক্ষিকা নিযুক্ত হলেন মিসেস ওহ এবং উর্দু শিক্ষিকা হলেন মিসেস বেগ।

দূর দুরান্ত থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে ভীড় জমালো। তারা যাতে শিক্ষার সযোগ গ্রহণ করতে পারে এ ঢিল্প নিয়ে ১৯৫৫ খ্রীস্টাব্দে হোস্টেলের ব্যবস্থ করা হলো। হোস্টেলের প্রথম ও একমাত্র দ্বাত্রী ছিল দুখজা চৌধুরী রিয়া ও ছাত্র ছিল সাজ্জাত হোসেন। শহরের কেন্দ্রস্থলে মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত স্কুলে অনেকে পড়ার অগ্রেহ নিয়ে স্ত্রীর জমাতে গুরুতরে কিন্তু বিদেশী ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করা সবার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় অনেকে পিছিয়ে ফেল। হোস্টেলে ২০টি করে ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা ভাবে ৪০টি আসন ছিল। মোস্টেলের ছাত্র-ছাত্রীরা অধিকাংশই পশ্চিম পাকিস্তান ছিল। তবে কিছু সংখ্যক বার্মিস ও আমেরিকান ছাত্রী ছিল।

মিষ্টার লিও কুমিল্লা এসে এক মুহূর্ত সময়ও বিশ্রাম করেননি। ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক চারিত্রিক ও মানসিক গঠনে সিষ্টাররা লেখা পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থ রাখেন। তার মধ্যে সাহিত্য চর্চা একটি। শিক্ষার্থীরা সুপ্ত প্রতিভা, আন, চিন্তা প্রকাশ করে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে ১৯৬১ খ্রীষ্টাব্দে বিদ্যালয়ের বার্ষিকী গবসড়ৎরবং প্রকাশিত হয়। ১৯৬৩ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত তার ধারাবাহিকতা চলে। ক্লাব স্কাউটিং দল ঘূর্ণিঝরের সময় বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামাট্ট বিতরণ করে। তারা নিজেরা স্কুল থেকে কাপড় চোপড় ও টাকা সংগ্রহ করে। পঞ্চাশের দশকে স্কুলে কোন লাইব্রেরি ছিল না। বর্তমানে বড় পরিসরে লাইব্রেরির আঙ্গিনা হার-ছাত্রীদের জন্য জন সরবরাহ করছে। ছেলেরা ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট প্রকৃতি খেলায় অংশগ্রহণ করে বিমল আনন্দে চিত্তের প্রলার ঘাঁটিয়েছে।

স্কুল যখন দ্রুত গতিতে সম্মুখ পানে অগ্রসরমান বিধাতার এ পরিবর্তন শীল দুনিয়ার পরিবর্তন আমাদেরও স্পর্শ করুণ। বুহত্তর দায়িত্ব পালনের জন্য প্রাণপ্রিয় প্রিন্সিপাল নিষ্টার মেরী লিওকে ১৯৯৫ খ্রীস্টাব্দে ৩০শে জানুয়ারী সিষ্টার যোয়ান অব আর্ক এমএসসি’র হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বুকভরা ব্যথা নিয়ে স্বদেশে যেতে হলো। সিষ্টার ফ্রান্সিসকা আমেরিকার লুসিয়ানা থেকে কুমিল্ল আসেন। সিষ্টার যোয়ান অব আর্কের নেতৃত্বে স্কুলে কার্যক্রম সঠিক ভাবে চলতে লাগল। কিন্তু দেশের পরিস্থিতির কারণে সবার মনে হতাশা উকি দিচ্ছিল। সত্যিই দেখা গেল একই বছর ৬ই সেপ্টেম্বর ৬৫ খ্রীঃ ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হবো।

যুদ্ধ ছিল ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু স্কুলের জন্য তার ফল ছিল সুদূর প্রসারী। যুদ্ধের পর অক্টোবর মাসে যথারীতি স্কুল শুরু হলো। সিস্টার যোয়ান অব আর্ক সয় আরও কয়েকজন সিস্টার কুমিল্লাতে পুনরায় এলেন। কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকা কিছু পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলো। মিষ্টার মেরী জর্জ এসএমআরএ হলেন অল্প সময়ের জন্য স্কুলের প্রিনিগাল। পূর্বে ক্যাম্ব্রিজ ও ইংরেজী মাধ্যমে ছিল বলে প্রধান শিক্ষিকাকে ‘প্রিন্সিপাল’ বলা হতো। এ অমায়িক স্বভাবের প্রিন্সিপালকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সবাই আপন করে নিল। খুব শীঘ্রই তাঁদের ফিরে যেতে হবে বিদেশী সিষ্টাররা তা আঁচ করতে পারলেন। তার প্রস্তুতি স্বরূপ প্রথম সুযোগেই ১৯৬৯ খ্রীষ্টাব্দে তাঁরা হোটেল বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু স্কুলের কর্মকান্ড থেমে যায়নি। ১৯৬৯ খ্রীষ্টাব্দের আগষ্ট থেকে জোর প্রস্তাব আসতে লাগল বাংলা মাধ্যম চলু করার জন্য। কর্ণধার হলেন সিষ্টার গ্রেটড।১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দে স্কুলের ধারা আবারও রূপান্তরিত হলো। কুমিল্লা বোর্ড থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে অনুমতি এলো। ইংরেজী চারজন ছেলে মেয়ে প্রথম বাঙ্গালি প্রিন্সিপাল সিঃ জর্জের তত্ত্ববধানে ইংরেজী মাধ্যমে বোর্ডের পরীক্ষা দিল। চমৎকার ফল বয়ে আনলে তারা, চারজনই প্রথম বিভাগে পাশ করুণ। আমেরিকা থেকে সিং আলইসিউস ফিরে এলেন। স্কুলের উপর দ্বিতীয়বার আঘাত হানলো ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের স্বধীনতা যুদ্ধ। ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে ২৫শে মার্চের কালো রাত্রিতে বাঙ্গালি জাতি যখন পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর ঠিক তখনই গিয়ার যোয়ান অব আর্ক সহ অন্যান্য সিষ্টারগণ ৪ঠা এপ্রিল দেশ ত্যাগ করলেন। প্রধান শিক্ষিকার পুরো দায়িত্ব সিয়ার মেরী গ্রেটুর্ডের উপর অর্পিত হলো।

নয়মাস রক্তদানের ফলশ্রুতিতে দেশ স্বাধীনতা লাভ করলো। দেশের জনগোষ্ঠী যখন দেশ গড়ার কাজে মেতে উঠল তখন আমেরিকা থেকে ফিরলেন সিষ্টার কেরলিন ও সিস্টার বার্নারা। একই বছর মেরীয়ানাইট হলিক্রশ সিস্টারদের সুপিরিয়র জেনারেল মাদায় মেরী ম্যান্ডালিন সুফিবারা বাংলাদেশে এসে প্রেরিতগণের রাণী মারীয়ার সঙ্গিনী সংঘের সিষ্টারদের প্রাক্তন সুপিরিয়র জেনারেল সিস্টার মেত্রীলিনের হতে স্কুলের সমস্ত দায়িত্ব অর্পণ করে ভারাক্রান্ত মনে তাঁদের পর্বের সমাপ্তি ঘটালেন।।

রক্ত দিয়ে রাঙ্গিয়ে যে দেশের নাম মানচিত্রে অঙ্কিত হলো, রক্তের বিনিময়ে যে জাতি মাকে মা বলে ডাকার অধিকার ফিরে পেল, সেদেশে স্বধীনতার পর সর্বস্থরে বাংলা ব্যবহারের জোর প্রচেষ্টা চালানো হলো। বাংলা মাধ্যম চালু করার জন্য আওয়ার লেডী ফাতিমাতে বারবার অনুরোধ পাঠানো হলো। অবশেষে ১১৯৭৩ খ্রীষ্টাব্দে ১লা মার্চ স্কুলে ইংরেজীর পরিবর্তে বাংলা মাধ্যম চালু করা হলো। তখন সিষ্টার মেরী পেট্রা প্রিন্সিপাল হয়ে এলেন। বর্তমানে ও এস.এম.আর, এ সিষ্টাররাই স্কুল পরিচালনা করছেন। কোন দিক থেকেই স্কুল আর পিছিয়ে নেই। কিন্তু স্কুলের একটা সমস্যায় আজও সমাধান হয়নি। যেখানে বারান্দাতেও ক্লাশ ভালমত হয়েছে সেখানে ১৯৯২ খ্রীষ্টাব্দে ভর্তি সমস্যা সমাধান কল্পে দ্বিতল ভবন নির্মিত হলো কিন্তু লাভ হয়নি।

এ অল্প পরিসর জায়গা সর্বদাই সমস্যা জিইয়ে রেখেছে। প্রতিদিনই একবার কোন না কোন অভিভাবকের আকৃতি আসবে। টেলিফোনে একটু জায়গা হবে কি? আমার সন্তানকে কি নিতে পারবেন? উত্তর মাত্র একটাই, জায়গা নেই। লেখাপড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা বিকাশে বছরে একবার প্রম’ ব্যার্ষিকী প্রকাশ করে। তাতে শিশু মনের চিন্তু কল্পনার সঠিক বিকাশের পথ সুগম হয়েছে। ১৯৬৩ স্ত্রীঃ শেষবারের মত ম্যাগাজিন প্রকাশিত হলে তা দীর্ঘ একত্রিশ বছর নীরব ভূমিকা পালন করে। ১৯৯৪ খ্রষ্টাব্দে সিং নীপ্তির সুদক্ষ নেতৃত্বে তা বিচিত্ররূপে প্রকাশিত হয়। নমস্য সিষ্টার মেরী লিও নিজের বৃষ্টিকে ক্ষে দেখতে ১৯৮২ খ্রীষ্টাব্দে দ্বিতীয়বার কুমিল্লা আসেন। প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীয় প্রতিষ্ঠাত্রীকে তাদের মাধ্যে পেয়ে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। তখন সিঃ মেরী তারা প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে ছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিকতায় প্রতিষ্ঠাত্রী অভান্ত প্রীত হন।

স্কুলে শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে লেখাপড়া ছাড়াও বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রীরা প্রতি বৃহস্পতিবার শেষ পিরিয়ডে গাইড, হলদে পাখী, রেড ক্রিসেন্ট, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, আউট বীচ এবং ক্লাবদলে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। বদলে ছোট্ট প্রচেষ্টা অবিষ্যতে স্কাউটস। ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজে ব্রতী।